নাস্তিকদের বিশ্বাস: ভুল ধারণা ও কোরআনের দৃষ্টিকোণ

যদি একজন নাস্তিককে এক মাস ধরে বাধ্যতামূলকভাবে আল-কুরআনের তেলাওয়াত শোনানো হয়, তাহলে কি তার অন্তরে কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে?


নাস্তিকদের সম্পর্কে একটি সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে, যা মূলত তাদের নিজেরাই প্রচার করেছে। সেই ভুল ধারণাটি হলো: নাস্তিকেরা কিছুই বিশ্বাস করে না। অথচ বাস্তবতা হলো, নাস্তিকেরা অনেক বড় বিশ্বাসী। তাদের বিশ্বাসের দৃঢ়তা এমনকি অনেক ধার্মিকের চেয়েও গভীর।


কোরআনের দুটি আয়াত থেকে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়:

1. "এই সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, এটি আল্লাহভীরুদের জন্য পথ প্রদর্শক" (কোরআন ২:২)।

2. "যারা অবিশ্বাস করেছে, তুমি তাদের সতর্ক কর বা না কর, তাদের পক্ষে উভয়ই সমান; তারা ঈমান আনবে না" (কোরআন ২:৬)।


প্রথম আয়াত থেকে বোঝা যায়, কোরআন তাদের জন্য পথ প্রদর্শক যারা আল্লাহকে ভয় করে। আর দ্বিতীয় আয়াত বলে দেয়, অবিশ্বাসীদের সতর্ক করা বা না করা সমান—তারা কোনো অবস্থাতেই ঈমান আনবে না। 


সংক্ষেপে বললে, কোরআন শুনে নাস্তিকের মন পরিবর্তন হয় না। কোরআন তাদের জন্য কার্যকর হয় যারা ইতিমধ্যেই আল্লাহর ভয় পোষণ করে।


এখন একটি পাল্টা প্রশ্ন উঠতে পারে: **কোরআনে লেখা আছে কাফিররা কোনো অবস্থাতেই ঈমান আনবে না, তবে রাসুল (স) এর সময়ে অনেকেই কোরআন শুনে ঈমান এনেছিলো কীভাবে?


আসল বিষয় হলো, রাসুল (স) এর যুগে যারা কোরআন শুনে ঈমান এনেছিলো, তারা নাস্তিক ছিল না। তারা ছিল মূর্তিপূজারী বা ভুল ইশ্বরে বিশ্বাসী। কোরআন শুনে তারা উপলব্ধি করেছিল যে, এটি প্রকৃত ইশ্বরের বাণী। এভাবে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু যদি তারা নাস্তিক হতো, তাহলে কোরআন তাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতো না। কারণ, নাস্তিকতা এমন একটি মানসিকতা যেখানে এমনকি আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখলেও তারা এটিকে "ভুল দেখেছি" বলে অবিশ্বাস করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for being with us.

নবীনতর পূর্বতন