এই বিষয়ে ইসলামের আলোকে বলা যায়, স্ত্রীর বুকের দুধ পান করা ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ বা হারাম নয়। তবে এই বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে এবং বিভিন্ন আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে। মূলত, স্ত্রীর বুকের দুধ নিয়ে যে ধারণাগুলি রয়েছে, সেগুলি প্রসঙ্গে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া হলো:
১. ইসলামিক শরীয়তে শিশুদের ক্ষেত্রে বুকের দুধের মাধ্যমে যে সম্পর্ক হারাম হয়, সেটির জন্য দুটি মূল শর্ত আছে:
- শিশু অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করবে।
- কমপক্ষে পাঁচবার পৃথকভাবে দুধ পান করতে হবে।
২. যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক স্বামীর ক্ষেত্রে এই শর্তগুলি প্রযোজ্য নয়, তাই স্ত্রীর বুকের দুধ পান করলে সেটা শরীরে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বৈধ থাকায়, স্ত্রীর দুধ পান করা নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
৩. স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী তিনটি জিনিস স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ:
- পায়ুপথে সহবাস।
- রোজা পালনের সময় সহবাস।
- পিরিয়ড বা হায়েজ-নেফাজের সময় সহবাস।
এই তিনটি ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
৪. স্ত্রীর বুকের দুধ প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, তবে প্রাপ্তবয়স্কের জন্য তা শারীরিকভাবে প্রয়োজনীয় নয়। এতে যৌনতৃপ্তির কথা বলা হলে, এতে কোনো পাপ নেই।
পরিশেষে বলা যায়, ইসলামে স্ত্রীর দুধ পান করা নিয়ে স্পষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এবং এটি পাপ হিসাবে গণ্য হয় না।