শাকিব খান কীভাবে মাত্র ৮ মাসে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পেয়েছেন, তা জানা না গেলেও, এই প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে, তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। অনেক উন্নত দেশে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ রয়েছে, যার প্রধান কারণ হল সেসব দেশে ঘনবসতি কম। তবে, এটি শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য। এই ধরনের স্থায়ী বসবাসকে "Permanent Residency" বা "Migration" বলা হয়, এবং আমেরিকায় এটি গ্রিন কার্ড নামে পরিচিত।
মাইগ্রেশনের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে, যেমন:
1. **Skilled Migration**: এই ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ও কর্ম দক্ষতার ভিত্তিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে স্থায়ীভাবে থেকে যায়, তারাও এই ক্যাটাগরিতে পড়েন।
2. **Family Migration**: যদি আপনার খুব নিকট আত্মীয় (যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন) সেই দেশের নাগরিক হন, তবে বিশেষ শর্তে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। সাধারণত, স্বামী বা স্ত্রী এই সুযোগ গ্রহণ করে।
3. **Business Migration**: নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করলে কিছু শর্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।
4. **Investment Migration**: বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করলে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। এখানে টাকা কাউকে দিতে হয় না; নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখলেই বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। মোট কথা, টাকা সেই দেশে নিয়ে যেতে হয়।
5. **Migration by Achievement**: এই ক্যাটাগরিটি তাদের জন্য যারা উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে, যা ওই দেশে সম্মান এনে দিতে পারে। যেমন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বা অলিম্পিকে মেডেল প্রাপ্তরা এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। তবে, বিভিন্ন দেশের তারকা শিল্পীরাও এই সুযোগ গ্রহণ করে থাকেন।
মনে রাখবেন, আমি মূল নিয়মগুলো ব্যাখ্যা করেছি। এর ভেতরে অনেক ধরনের শর্ত থাকে, যা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রায় সকল উন্নত দেশে প্রযোজ্য (ভিন্ন দেশে ভিন্ন শর্তে)।
শাকিব খান সম্পর্কে জানা যায়, তিনি সম্ভবত শেষ দুইটি ক্যাটাগরির মধ্যে একটি জন্য উপযুক্ত। তারকা শিল্পী হিসেবে "Migration by Achievement" ক্যাটাগরিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া সম্ভব। তবে, সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হচ্ছে "Investment Migration"। এই ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ী ভিসা পাওয়া যায়, যা সাধারণত ৬ মাসের মধ্যে হয়ে যায়। শাকিব খান একজন ধনী তারকা, তাই তার পক্ষে এই ধরনের মাইগ্রেশন করা সহজ।